এবিএনএ: বাণিজ্য বাড়াতে ব্যাংকিং খাতের বেশ গুরুত্ব রয়েছে। তবে বর্তমানে বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে সরাসরি ব্যাংকিং চ্যানেল নেই। এ সমাধানে দুই দেশের জয়েন্ট কমিশন কাজ করছে, এ সমস্যা দ্রুতই সমাধান হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার ইগনাটোভ। আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। এসময় বাণিজ্য সচিব মফিজুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব (রফতানি) তপন কান্তি ঘোষ, অতিরিক্ত সচিব (এফটিএ) সফিকুল ইসলামসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
আলেক্সান্ডার ইগনাটোভ বলেন, যেকোনো দেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক অনেক গুরুত্ব বহন করে। বাংলাদেশ এ মুহূর্তে রাশিয়ায় যেকোনো ধরনের পণ্য রফতানি করতে পারে। এতে আমাদের দরজা খোলা আছে। বর্তমানে ১ দশমিক ৬ মিলিয়ন রফতানি করে বাংলাদেশ। বাণিজ্য বাড়াতে ব্যাংকিং খাতের গুরুত্ব রয়েছে। তবে বর্তমানে বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে সরাসরি ব্যাংকিং চ্যানেল নেই। এর সমাধানে দুই দেশের জয়েন্ট কমিশন কাজ করছে। তারা সমস্যা খুঁজে বের করে দ্রুত সমাধান করবে।
তিনি বলেন, রাশিয়া বাংলাদেশে বিনিয়োগের পরিবেশ পর্যবেক্ষণ করছে। এলক্ষ্যে মার্চে বাংলাদেশে একটি বৈঠক করে এমওইউ স্বাক্ষর করা হবে। পাশাপাশি নভেম্বরে রাশিয়ায় দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করে দুই দেশের বিনিয়োগের জন্য সুনিদিষ্ট স্থান খোঁজা হবে। এ সমঝতা চুক্তি হলে উভয় দেশ লাভবান হবে। দুই দেশই এগিয়ে যাবে। বিনিয়োগের নতুন নতুন খাত তৈরি হবে।
তিনি আরও বলেন, রাশিয়ায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, সি-ফুড, আলু, ওষুধসহ অনেক পণ্যের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। রাশিয়া এগুলো বাংলাদেশ থেকে আমদানি করতে আগ্রহী। এমওইউ স্বাক্ষর হলে বাংলাদেশের সাথে রাশিয়ার অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক অনেক বৃদ্ধি পাবে। উভয় দেশের ব্যবসায়ীরা পারস্পরিক দেশ সফর করলে বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে। রাশিয়া বাংলাদেশের সাথে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সর্ম্পক বৃদ্ধি করতে আগ্রহী।